ফের মুর্শিদাবাদ জেলা পরিষদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠল জেলা শহর বহরমপুরের কারবালা ওয়াকফ সম্পত্তি জবর দখলের। সেই সাথে অভিযোগ উঠল রাজ্য ওয়াকফ বোর্ডের সিইও -র বিরুদ্ধে এই জবর দখলের ষড়যন্ত্রে সামিল হওয়ার। বহরমপুর সংলগ্ন শিবডাঙ্গা বদরপুর মৌজায় অবস্থিত কারবালা কবরস্থান ওয়াকফ সম্পত্তি । ইসি নং ১২৩৭৭। যে জমি দখলের অভিযোগ তার সিএস, আরএস রেকর্ডে খতিয়ান নং ৩৭৭। দাগ নং ২৩৩। মোট জমির পরিমাণ ১০.৬০ একর । ২০০২ সালে ১০.৬০ একর জমির মধ্যে ৫.৪০ একর জমির খতিয়ান নং করা হয় ১। কিন্তু দাগ নং অপরিবর্তিত থাকে ২৩৩। সেই জমির উপর ২০০২/৩ সালের দিকে ১২৮ খানা দোকান ঘর নির্মাণ করে তৎকালীন জেলা পরিষদ। জেলা পরিষদ ছিল সিপিআইএম পরিচালিত এবং সভাধিপতি ছিলেন সচ্চিদানন্দ কান্ডারী। সেই সময় খতিয়ান পরিবর্তন করে ১ নং করা এবং দোকান ঘর নির্মাণের বিরুদ্ধে গণঅসন্তোষ তৈরি হয়। চারিদিকে আন্দোলন সংগঠিত হয়। ২০০৬ সালের ১০ মার্চ আন্দোলনের কর্মসূচি পালনের সময় বড়সড় ঝামেলা হয়। তারই পরিপ্রেক্ষিতে ১৩ মার্চ ২০০৬ বহরমপুর ( সদর) এসডিও একটি মিমাংসা সভা আহ্বান করেন। সেই সভায় এসডিও, বিডিও, ডিএসপি, আইসি, সিপিআইএম নেতা কবীর মোল্লা, মুতাওয়াল্লি কমিটির সভাপতি নূরে খোদা, নাগরিক আন্দোলনের নেতা মুখতাদির মোল্লা সহ মোট ৩৩ জন উপস্থিত ছিলেন। সিদ্ধান্ত হয়েছিল নক্সা অনুযায়ী নয়, সরেজমিনে পরিদর্শন করে দেখা যাবে কবর যেখানে আছে সে জায়গা ইটের প্রাচীর দিয়ে ঘেরা হবে। আমীন, পুলিশ এবং অর্থ সরকার দেবে। তারপর জবর দখল করে নেওয়া জায়গা উদ্ধারের চেষ্টা করা হবে। সেই মতো কাজ হয়। কিন্তু প্রাচীর দিয়ে ঘেরার পর নাগরিক আন্দোলনে ভাটা পড়ে যায়। অনেকেই অভিযোগ করেন সিপিআইএম ভিতর থেকে কলকাঠি নেড়ে নাগরিক আন্দোলনকে দুর্বল করে দেয়। দীর্ঘদিন পর ২০২৪ সালে তৃণমূল জেলা পরিষদ সেই ১২৮ খানা ঘরের উপর দোতলা ঘর নির্মাণ শুরু করে। তখন থেকেই বর্তমান সমস্যার সৃষ্টি। বর্তমান মুতাওয়াল্লি কমিটির সভাপতি সানুয়ার সেখ ৩১জুলাই২০২৪ মুর্শিদাবাদ জেলা পরিষদকে লিখিত অভিযোগে বলেন মুর্শিদাবাদ জেলা পরিষদ ওয়াকফ সম্পত্তির উপর নির্মিত দোকান ঘরের উপর দোতলা বিল্ডিং তৈরি করছে। এই বিল্ডিং তৈরি করার যথাযথ কোন অনুমোদন জেলা পরিষদ নেয়নি এবং এই দোতলা বিল্ডিং তৈরি করা বন্ধ করা হোক। জেলা পরিষদ কোন ব্যবস্থা গ্ৰহণ না করে নির্মাণ কাজ চালিয়ে যেতে থাকে। ফলে কারবালা ওয়াকফ সম্পত্তি কমিটির সভাপতি সানুয়ার সেখ গত ১৬ জুলাই ২০২৫ ওয়াকফ বোর্ডের সিইও-কে লিখিত আবেদনে সমস্ত বিষয় জানিয়ে নির্মাণ কাজ বন্ধ করার দাবি জানান। সিইও ১৮ জুলাই মুর্শিদাবাদ জেলা শাসককে এক চিঠিতে বিষয়টি তদন্ত করে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করার কথা বলেন। আজ পর্যন্ত নির্মাণ কাজ চলছে।
এই কারবালা ওয়াকফ সম্পত্তি মূলত কবরস্থান। কারবালা কবরস্থান বলেই পরিচিত। বহরমপুর শহরের উত্তর- পূর্ব প্রান্তে শিবডাঙ্গা বদরপুর মৌজায় অবস্থিত। কারবালা কবরস্থান প্রাচীন ঐতিহাসিক ওয়াকফ কবরস্থান। অবিভক্ত অবিভক্ত বাংলার অনেক প্রসিদ্ধ ব্যক্তি এখানে শায়িত আছেন। মোট জমির পরিমাণ প্রায় ৩০০ বিঘা । বিভিন্ন সময়ে নানা রকম ভাবে জবর দখলের ফলে তার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩০.৫ একর । তৌজি নং ১০৬২, জে এল নং ৭৯ । খতিয়ান নং ৩৭৭ এবং ৪৩৭। ইসি নং ১২৩৭৭।
। আর এস খতিয়ান নং ৩৭৭, ৪৮/২০৪, ৪৮/২০৫, ১৩৪/২২০, ৪৮, ১৩৪, ২০০২ সাল থেকে ২০০৩ সালের মধ্যে এই খতিয়ান নংগুলি পরিবর্তন করে ১ নং খতিয়ান করা হয়েছে।
এই সমস্যার সমাধানের জন্য অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক, (জেলা পরিষদ) এর সাথে ওয়াকফ সম্পত্তি মুতাওয়াল্লী কমিটি দু বার আলোচনায় বসে কোন সমাধান সূত্র বের করতে পারেননি। জেলা পরিষদের বক্তব্য ১২৮ খানা ঘর তৈরি করা হয়েছে জেলা পরিষদের জমিতে। মুতাওয়াল্লী কমিটি বক্তব্য ঘর নির্মাণ করা হয়েছে ওয়াকফ সম্পত্তিতে। ২৩৩ দাগ এবং ২৩৪ দাগ পাশাপাশি। উভয়ের মাঝখানে আছে নয়নজুলি। নয়নজুলির আলাদা কোন দাগ নং নেই। জেলা পরিষদের দাবি নয়নজুলি ২৩৪ দাগের অংশ এবং এই নয়নজুলিতে ঘর করা হয়েছে। মুতাওয়াল্লী কমিটির দাবি নয়নজুলি ২৩৩ দাগের অংশ এবং ঘর করা হয়েছে ২৩৩ দাগের কিছু অংশ নিয়ে নয়নজুলিতে। ফলে সমস্যা দাঁড়াই নয়নজুলি ২৩৩ দাগের অংশ, না ২৩৪ দাগের অংশ এর সমাধান করা। বহরমপুর শহরের বিশিষ্ট হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক, কাঁদাই মসজিদ কমিটির মুতাওয়াল্লী , মুর্শিদাবাদ কবরস্থান বাঁচাও কমিটির সদস্য ডাঃ এম আর ফিজা-র বক্তব্য সিএস এবং আর এস মানচিত্র অনুযায়ী নয়নজুলি ২৩৩ দাগের অংশ। নয়নজুলি ধরেই মানচিত্র অনুযায়ী জমির পরিমাণ পূরণ হবে ।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে ৩৭৭ খতিয়ানের ২৩৩ দাগের খতিয়ান পরিবর্তন করে ১ নং খতিয়ান করা হয়েছে কীসের ভিত্তিতে? এটা হয়েছে ২০০২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে। এ সব কীভাবে করা হয়েছে তা নিয়ে সবাই জেলা পরিষদকে দায়ী করছেন। আরও একটি বিষয় সমস্যা তৈরি করেছে। ২৩৩ এবং ২৩৪ দাগের মাঝে একটি রাস্তা আছে। মুতাওয়াল্লী কমিটির দাবি ঐ রাস্তা কবরস্থানের তথা ওয়াকফ সম্পত্তির অংশ। অন্য দিকে জেলা পরিষদের দাবি ঐ রাস্তা বৃটিশ আমল থেকেই ডিস্ট্রিক্ট বোর্ডের যা বর্তমান জেলা পরিষদের পূর্ব নাম। শহরের বিশিষ্ট আইনজীবী তৌফিক আহমেদ এর বক্তব্য ঐ রাস্তা আসলেই কবরস্থানের অংশ। কবরস্থানের ভিতরে যাওয়ার জন্য রাস্তা করা হয়েছিল। পরবর্তীতে ডিস্ট্রিক্ট বোর্ড এবং তার পর জেলা পরিষদ গ্ৰহণ করে। অনেকের অভিযোগ বামফ্রন্ট আমলের শেষ দিকে রাজ্যের কবরস্থানগুলিকে ১ নং খতিয়ানে নিয়ে আসে। তার অর্থ ওয়াকফ সম্পত্তিগুলিকে সরকারি সম্পত্তিতে রুপান্তরিত করা হল। তা হলে বর্তমানে ১ নং খতিয়ানে থাকা সমস্ত কবরস্থান কাগজে কলমে সরকারি সম্পত্তি। নতুন ওয়াকফ আইন ( সংশোধীত) ২০২৫ বাস্তবায়ন হলে ১ নং খতিয়ানে থাকা কবরস্থান সরকার জবর দখল করে নেবে। বহরমপুর শহরের বিশিষ্ট হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক এবং মুর্শিদাবাদ জেলা ওয়াকফ সম্পত্তি সুপারভাইজার কমিটির সদস্য ডাঃ এম হাসনাৎ জানান কারবালা ওয়াকফ সম্পত্তি সহ আরও কয়েকটি ওয়াকফ সম্পত্তি বা কবরস্থান ঠিক মতো ব্যবহার করা যাচ্ছে না। স্থানীয় লোকজন নানা রকম ভাবে বাঁধা সৃষ্টি করছে। যেমন বারো বিঘা কবরস্থান এর জায়গায় রাণী স্বর্ণময়ীর মূর্তি বসানোর অন্যায় বায়না ধরেছে স্থানীয় কিছু মানুষ। আগেই দেড় বিঘা জমি বেদখল হয়ে গেছে। বাইশ পল্লী ওয়াকফ সম্পত্তি দখল করে বাজার বসাচ্ছে স্থানীয় লোকজন। কারবালা কবরস্থানের অনেক জায়গা দখল করেছিল সিপিআইএম পরিচালিত জেলা পরিষদ। আজও তা উদ্ধার হয়নি। এখন তো তার উপর দোতলা বিল্ডিং তৈরি করছে তৃণমূল পরিচালিত জেলা পরিষদ। তিনি আরও জানান ১ নং খতিয়ান সংশোধন করার জন্য জেলা শাসকের কাছে দেখা করে আবেদন করেছিলেন। জেলা শাসক স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছেন ১ নং খতিয়ান সংশোধন তিনি করতে পারবেন না। নবান্ন থেকে অনুমতি নিয়ে আসতে হবে। এসডিপিআই এর জাতীয় সম্পাদক তায়েদুল ইসলাম এর অভিযোগ বহরমপুর শহরে ওয়াকফ সম্পত্তি দখলের সূচনা হয়েছিল কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরীর হাত ধরে। পরে তাতে গতি আনে সিপিআইএম এবং এখন সেই ট্রাডিশন সমানে চালিয়ে যাচ্ছে তৃণমূল। সিপিআইএম এর জেলা অফিস ওয়াকফ সম্পত্তি দখল করে করা হয়েছে বলে অভিযোগ আছে। সেই অফিসের পাশেই ওয়াকফ সম্পত্তি যা ঈদগাহ হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছিল তা দক্ষিণবঙ্গ রাজ্য পরিবহণ নিগম কে দেওয়া হয়েছে বাস টার্মিনাল করার জন্য। এক সময় মাঠটি শিশু উদ্যান হিসেবেও ব্যবহার করা হোত। সামান্য অংশ ফাঁকা আছে যা বর্তমানে ঈদগাহ হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। এই মহৎ(!) কাজটি করেছেন আজকের বিজেপি নেতা ও তৎকালীন তৃণমূল নেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি তখন দলের পক্ষে মুর্শিদাবাদ জেলার পর্যবেক্ষক ছিলেন। কারবালা কবরস্থান বিষয়ে তিনি আরও বলেন প্রথম যখন সিপিআইএম পরিচালিত জেলা পরিষদ দখল করে তখন তিনি কলম পত্রিকায় কয়েকটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছিলেন। তখনই জানা গিয়েছিল কারবালা কবরস্থানের মোট জমি ২৮৫ বিঘা। প্রায় দুশো বিঘাই জবর দখল হয়ে গেছে। জেলা পরিষদ করেছে ১২৮ খানা ঘর। এমনও অভিযোগ আছে জেলা পরিষদ যে জমির উপর অবস্থিত সেই জমিও ওয়াকফ সম্পত্তি। কয়েকদিন আগে কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরীও সাংবাদিকদের সামনে এই দাবি করেছেন। পাশে চালপট্টি এবং গ্লুকাল হাসপাতালও কারবালা কবরস্থানের জমি জবর দখল করে করা হয়েছে। এই জায়গাও ওয়াকফ সম্পত্তি বলে অনেকেই দাবি করেন। কয়েক জন এলাকাবাসী অভিযোগ করলেন ওয়াকফ মুতাওয়াল্লী কমিটির একাংশ দোতলা বিল্ডিং করার ষড়যন্ত্রে যুক্ত। ১২৮ টি থেকে ভাড়া হিসেবে যে টাকা আয় হচ্ছে তার সবটাই জেলা পরিষদের তহবিলে জমা পড়ছে কি না সন্দেহ। তাদের ধারণা সে আয়ের একটা ভাল অংশ তারাই খাচ্ছে যারা দোতলা বিল্ডিং তৈরি করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত।
কিন্তু প্রশ্ন হল মুতাওয়াল্লী কমিটি এবং ওয়াকফ বোর্ড এই জবর দখল রুখতে বা পুনরুদ্ধার করতে কী ভূমিকা পালন করেছে? স্থানীয় জনগণের বক্তব্য, কখনোই যোগ্য লোকদের মুতাওয়াল্লী কমিটিতে নেওয়া হয় না। তারাই দুর্নীতি করে। যখন যে দল ক্ষমতায় থাকে তখন সেই দলের নেতারাই মুতাওয়াল্লী কমিটিকে নিয়ন্ত্রণ করে। রাজনৈতিক নেতাদের একাংশ, মুতাওয়াল্লী কমিটির একাংশ এবং সরকারি আধিকারিকদের একাংশ মিলিত ভাবে ওয়াকফ সম্পত্তি জবর দখলের কাজ রাজ্যের সর্বত্রই করে চলেছে । সেই ধারাবাহিকতায় মুর্শিদাবাদ দূরে থাকবে কেন?
গত ২৬ আগষ্ট তারিখ জেলা পরিষদ ও ওয়াকফ বোর্ড যৌথ ভাবে জমি মাপে। তাতে স্পষ্ট হয়ে যায় ওয়াকফ জমির উপর জেলা পরিষদ পাকা ঘর নির্মাণ করে বাজার করেছে। অথচ মাপের শেষে জেলা পরিষদ পরে সিদ্ধান্ত জানানো হবে বলে মিমাংসা না করে শেষ করে। পরে জেলা পরিষদ ডিএলআরও কে দিয়ে ওয়াকফ বোর্ডকে চিঠি দিয়ে ভুল বক্তব্য জানায়। ফলে মাপজোক করার পর ওয়াকফ এর জমি জেলা পরিষদ দখল করে আছে প্রমাণ হওয়ার পরও সেই জমি উদ্ধার হচ্ছে না। এমনকি ওয়াকফ বোর্ড যৌথ-মাপ এর রিপোর্ট মুতাওয়াল্লি কমিটিকে দিতে অস্বীকার করে। উপুর্যপরি তাগাদা দেওয়ার পর জানায় রিপোর্টের জন্য লিখিত আবেদন করতে হবে। লিখিত আবেদন করার পর ওয়াকফ বোর্ড জানায় মাপে প্রমাণ হয়েছে জেলা পরিষদ ওয়াকফ সম্পত্তি দখল করেনি। এর উত্তরে মুতাওয়াল্লি কমিটি ৮ সেপ্টেম্বর লিখিত ভাবে বোর্ডকে জানায় তারা এই বক্তব্যের সাথে একমত নয়। যৌথ ভাবে মাপ করার পর যৌথ ভাবে কোন রিপোর্ট তৈরি করা হয়নি। বোর্ড একক ভাবে গোপনে রিপোর্ট তৈরি করেছে। বিষয়টি নিয়ে তারা বোর্ডের চেয়ারম্যান এর সাথে বসে আলোচনা করতে চায়। সেই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বোর্ড ১২ সেপ্টেম্বর চিঠি দিয়ে জানায় ১৯ সেপ্টেম্বর বসার দিন ধার্য করা হয়েছে। ১২ তারিখের চিঠিতে মুতাওয়াল্লি কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে তাদের এপিক কার্ড, আধার কার্ড প্রভৃতি সাথে নিয়ে আসতে বলা হয়। ১৯ সেপ্টেম্বর মুতাওয়াল্লি কমিটির সভাপতি সানোয়ার সেখ, সদস্য আনোয়ার হোসেন, মুর্শিদাবাদ জেলা ওয়াকফ সম্পত্তি মনিটরিং সেল এর সদস্য আইনজীবী তৌফিক আহমেদ ও ডাঃ মীর হাসনাৎ আলি এবং বন্দী মুক্তি কমিটির রাজ্য সহ সভাপতি তায়েদুল ইসলাম ওয়াকফ বোর্ডে আলোচনায় বসেন। ওয়াকফ বোর্ডের পক্ষে ছিলেন চেয়ারম্যান, সিইও, সদস্য ক্বারী ফজলুর রহমান, আইনজীবী আনসার আলী সহ আরও কয়েকজন সদস্য। আলোচনায় কোন সমাধান সূত্র বের হয়নি। জেলা পরিষদের আমিনের মাপের সাথে মুতাওয়াল্লি কমিটির আমিনের মাপ একই রকম না হওয়ায় সমস্যা তৈরি হয়। আলোচনা ভেস্তে যায়। আলোচনা থেকে বেরিয়ে সানোয়ার সেখ বলেন তাঁরা আদালতে যাবেন। ২০ সেপ্টেম্বর কমিটি ওয়াকফ বোর্ডের অন্যতম সদস্য, জঙ্গিপুর লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ খলিলুর রহমানের সাথে বসেছিলেন। ২২ সেপ্টেম্বর জেলা পরিষদের সাধারণ সভায় এডিএম জেলা পরিষদ ঘোষণা করেন কারাবালা কবরস্থানের সমস্যা মিটে গেছে। সভা থেকে বেরিয়ে সাংসদ আবু তাহের খান মুতাওয়াল্লি কমিটিকে বলেন এডিএম শীলমোহর মেরে দিয়েছেন আর কিছু করার নেই। মুতাওয়াল্লি কমিটি ২৫ সেপ্টেম্বর সাংবাদিক সম্মেলন করে ঘোষণা করেন কোন সমাধান হয়নি। জেলা প্রশাসন অসত্য বক্তব্য প্রচার করে জনসাধারণকে বিভ্রান্ত করছে।